জুজুগগা 

পঞ্চসঙ্গী

মুজিবনগরের সাবু 

টাইম মেশিন একটি কল্পকাহিনী। এইচ.জি.ওয়েলসের রচিত শিশুতোষ গল্প ‘টাইম মেশিন’ এর বাংলা অনুবাদ করেন শওকত ওসমান। গল্পটি এমন একজন ব্যক্তি সম্পর্কে যিনি সফলভাবে টাইম মেশিন তৈরি করেন। “কাল মুসাফির” সময়ের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করেন এবং বিভিন্ন সময়ের মাত্রা অন্বেষণ করেন। প্রথমে চিত্তবিনোদনের জন্য সময়ের হেরফেরে ঘুরে আসলেও একসময় তা অভ্যাসে পরিণত হয়। অন্যরকম এক অনুভূতি ঘিরে ধরে তাকে। সময়ের যাত্রায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিস্থিরির শিকার হন। কখনো মাঠের মাঝে দাঁড়ায় থাকেন আবার কখনো প্রাণীদের আক্রমণের সামনে। আর ফিরে এসে এগুলোর কথা জানান সঙ্গীদের। বেশ সময় ধরে এটি চললে তাঁর শেষ অবস্থা নিয়েই পুরো গল্পের পটভূমি সাজানো হয়েছে।

টাইম মেশিন

কিশোরসমগ্র-২

কিশোরসমগ্র-১

সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন নিয়ে লেখা শিশুসাহিত্য ‘তারা দুইজন’। নুরালি মিঞ্চা; তাঁর দুই ছেলে গহর এবং জহর। পিতা চাষী হলেও বাঁশি বানানোই ছিলেন বেশ পটু। তবে শুধু বাঁশির কাজে যে সংসার চলে না। এরইমধ্যে যুদ্ধের সময় মজদুরের প্রয়োজন হলে পাশের গ্রাম কুসুমপুরে মাটি কাটার কাজে নাম দেন নুরালি। দিনের পর দিন পার হতে থাকে তবু বাপের কোনো খোঁজ নেই। এদিকে গহর-জগর চাচাবাড়িতে বেশ একটা সুবিধে করতে পারছিলো না। একদিন জীপ গাড়িতে করে গ্রামে আসে আমির পাটোয়ারি। মাটি কাটার কাজ করার সময় গ্রামে বেশ কয়েকজন মারা যাওয়ার খবর আর সান্ত্বনা হিসেবে কিছু টাকা দিতে এসেছে সে। বাবার জীবন কতটা মূল্যহীন গহর-জহরের নিকট তখন বেশ পরিষ্কার। বাবার মৃত্যুর পর গহর গ্রাম থেকে চলে আসে নবীনগরের ফ্রি বোর্ডিং স্কুলে যেখানে সঙ্গী হিসেবে দেখা পায় নাসিরের। নাসির এই গল্পের অন্যতম চরিত্র। তাদের বোর্ডিং এর সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বেশ কিছু ঘটনার দেখা মেলে। এরমাঝে তাদের বোর্ডিংয়ে বেশ অর্থসংকোটে একজন অচেনা ব্যক্তি গহরের বোর্ডিং কে অর্থ দিয়ে সহায়তা করে। লোকটির পরিচয় গহরকে বিস্মিত করে। গল্পের শেষে এসে লেখক একটু প্যাঁচ ঝুলিয়েছেন। এখানে দেখার বিষয় আসলে লোকটি কে আর কি হয় গহরের শেষ ঠিকানা।

তারা দুইজন

ওটেন সাহেবের বাংলো শওকত ওসমানের প্রথম প্রকাশিত গল্প। শিশুতোষ গল্পটি প্রকাশ পায় ১৯৪৪ সালে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ওটেন সাহেব একজন সার্ভেয়ার। পাড়াগাঁয়ে এসেছেন জমি-জমা পরিমাপের কাজে। কাজের ফাঁকে গাঁয়ের পরিবেশ ওটেন সাহেবের বেশ পছন্দ হয় এবং তিনি সেখানে কিছু জমি কিনে নেন। ওটেন সাহেবের সঙ্গী ছিলো তার বাবুর্চি গণি। গণি সাহেবের হ্যাঁ তে হ্যাঁ মেলানোয় ব্যস্ত থাকলেও সাহেবকে জানিয়ে দেয়, এই জায়গায় বাংলো বানালে ওশুভ হবে। ভূত-প্রেতের বড় আশঙ্কা আছে এই জায়গায়। তবে ওটেন সাহেব ভূতের গল্পে অবিশ্বাসী। তোয়াক্কা না করে তিনি সেখানে বাংলো বানিয়ে ফেললেন। কিন্তু তারপরই শুরু হয় কান্ড-কাহিনী। রাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছায়া দেখা যায়। বাড়ির বাবুর্চি আর চাচাতো ভাই রশীদ প্রায়সই রাতে এসে সাহেবকে ভূতের কাহিনী শোনায়। এভাবে ক্রমাগত কিছু ঘটনার পর সাহেব নিজেও এসবের সম্মুখীন হয় এবং পরিশেষে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। গল্পটি হাস্যরসে পরিপূর্ণ। গল্পের শেষে কিছু রহস্য উদঘাটন গল্পটিকে আরো রোমাঞ্চকর করে তোলে।

কথাশিল্পী শওকত ওসমানের

সমূহ